এই দশকের শেষের দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের লক্ষ্য হল বর্তমান ২০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। বুধবার কলকাতায় এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল ক্যাথি জাইলস–দিয়াজ জানান, উভয় দেশের স্বার্থে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই এই লক্ষ্য। এরই পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ দেশ। এই ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব মার্কিন অর্থনীতিতে ভারতীয় সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান আস্থা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণের প্রতিফলন ঘটায়। এই প্রবণতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীরতর করবে এবং বিকাশ ও উদ্ভাবনে নতুন নতুন পথ খুঁজে পাবে।
ওর পাশাপাশি জাইলস–দিয়াজ এদিন এও বলেন, ২০২৪ সালে ভারত থেকে ২৩০ জন বিনিয়োগকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। উভয় দেশের মানুষের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রসারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একযোগে কাজ করে চলেছে। বিগত দশকগুলিতে বাণিজ্য অনেকবার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে জলবায়ু ও বিশুদ্ধ জ্বালানি সহযোগিতা নিবিড় ও সম্প্রসারিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটা লক্ষণীয় যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতির সঙ্গে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে কার্বনমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা রাজ্যে প্রয়োজনীয় ইভি পরিকাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।
এক্সিমঅ্যান্ডম্যানেজিংডিরেক্টরতথাসিআইআই–এর চেয়ারম্যান এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, ভারতের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ আমেরিকার পণ্য ও পরিষেবার এক বিশাল বাজার উপহার দেয়। এছাড়াও, অর্ধপরিবাহী শিল্প এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা এই দুটি দেশের কৌশলগত প্রকৃতিকে তুলে ধরে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআইআই–র ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সাবকমিটি অ্যান্ড প্রেসিডেন্ট অপারেশনস এর চেয়ারম্যান সুমিত গোয়েলও।