খিদিরপুরের শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সাংস্কৃতিক শাখা উৎকলা প্রদান করল এক ওড়িশার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এক মোহনীয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান শুধু দর্শকদের মুগ্ধ করেছে তাই নয়, একইসঙ্গে তৈরি করেছে শ্রী জগন্নাথের সঙ্গে গভীর এক আধ্যাত্মিক সংযোগ।
ওড়িশা উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় শিশুদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি অনুপ্রেরণামূলক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দিয়ে, যা পরিচালনা করেন খ্যাতনামা শিল্পী শুভঙ্কর দে এবং শ্রাবন্তী দাসচৌধুরী।আর এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওড়িশার যে এক ঐশ্বরিক ঐতিহ্য রয়েছে তাও তুলে ধরা হয় এক আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের শিল্পময় ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে।
এর পাশাপাশি ওড়িশা উৎসবের দ্বিতীয় দিনে উপস্থাপন করা হয় এক শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী। এর নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ড. দেবমিত্রা সেনগুপ্ত। তাঁর নির্দেশনা ও উপস্থাপনা ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও ভক্তিময়তাকে জীবন্ত করে তুলে দর্শকদের মোহিত করে।
এরপর সন্ধ্যায় হয় ভক্তিমূলক ভজন অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে ভজন গেয়ে শোনান রবীন্দ্র মহাপাত্র, সুশান্ত নায়ক এবং লোপিতা বেহেরা। সুমধুর কণ্ঠে ভজন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে এক শান্ত এবং ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এ যেন সকলকে একত্রিত করে এক গভীর বিশ্বাসের সম্মিলিত উৎসবের অংশ করে তোলে। রবীন্দ্র মহাপাত্রা, সুশান্ত নায়েক এবং লোপিতা বেহেরার উপস্থাপিত ভক্তিমূলক ভজন সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যার সমাপ্তি ঘটে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসু, শ্রী জগন্নাথ সেবা সমিতির সভাপতি চন্দ্রশেখর পাণিগ্রাহী, গুরু প্রসাদ পট্টনায়েক, সভাপতি, উৎকলা, পরশুরাম বিষোই, সহ–সভাপতি, শ্রী জগন্নাথ সেবা সমিতি, খিদিরপুর জগন্নাথ মন্দির, প্রমোদ কুমার জেনা, সম্পাদক, শ্রী জগন্নাথ সেবা সমিতি, খিদিরপুর জগন্নাথ মন্দির, সরোজ মল্লিক, সম্পাদক, উৎকলা এবং মন্দিরের সেবায়তরা।
ওড়িশা উৎসব ভগবান জগন্নাথের প্রতি এক সুরেলা শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে শিল্প, সঙ্গীত এবং আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের সংস্কৃতির সমৃদ্ধির এক নিদর্শন প্রতিষ্ঠিত করে। পাশাপাশি শিল্প, সঙ্গীত এবং আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে মিলেমিশে এক সুমধুর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করল শ্রী জগন্নাথকে
ওড়িশা উৎসবের তৃতীয় দিন (৩০শে জুন) একটি সেমিনারের আয়োজন থাকবে, শিরোনাম ‘শ্রী জগন্নাথ হলেন চেতনার প্রকৃত অস্মিতা’।এই বছর সেমিনারে ওড়িশা ও বাংলার বিশিষ্ট বক্তারা উপস্থিত থাকেন এবং তারপর ওড়িয়া অ্যাট কলকাতা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এক ভজন সন্ধ্যা পরিবেশন করেন।