ইস্তফা দিলেন অখিল গিরি। মুখ্যসচিবের কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার প্রশ্ন, কারামন্ত্রী হবেন কে তা নিয়েই সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক হতে পারেন কারামন্ত্রী। এবিষয়ে খোদ উত্তমই বলেন, ‘যদি মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, আমি এই দায়িত্ব সামলাতে পারব, তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে এই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে জেলা পরিষদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি।’
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন, পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে অখিল গিরি একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকারী গড়ে প্রতিপক্ষ হিসাবে তুলে ধরেছিলেন অখিল গিরিকেই। আর সেই কারণেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেন। ফলে অখিল গিরির মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে এখন গোটা মেদিনীপুর জেলা জুড়েই চর্চা রয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রশ্নও উঠছে, এরপর জেলায় কে হচ্ছেন শাসকদলের মুখ তা নিয়েও। সেক্ষেত্রে উত্তম বারিকের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে উত্তমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির সৌমেন্দু অধিকারী। একেবারে হাড্ডাহাড্ডি ফাইট দিয়েছিলেন তিনি।
তবে জেলায় কান পাতলে আরও একটি বিষয় শোনা যায়। উত্তম বারিক হলেন অখিল গিরির বিরোধী শিবিরের মুখ। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথাও জেলা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অজানাও পরিচিত। অখিলের আচরণ নিয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত রুষ্ট, তা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রেই জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে অখিলের পরিবর্তে মন্ত্রী হিসাবে উত্তমের নামটাই জোরাল হচ্ছে।