এবার ব্লকভিত্তিক ভোট কর্মীদের সম্পূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হল বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মী সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, দ্বিতীয় ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণের আগেই ডিসিআরসি ভিত্তিক প্রিসাইডিং অফিসার এবং চার পোলিং অফিসারের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। তবে তা ভোট কর্মীদের হাতে আসার আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যাঁরা পরিচিত মুখ, তাঁদের কাজের সমস্যা হবে। কারণ, ভোট কেন্দ্র বরাদ্দ হওয়ার আগে এটাই চূড়ান্ত নিয়োগপত্র। এতদিন প্রথম প্রশিক্ষণের বিশদ তালিকা প্রকাশ হচ্ছিল। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এই তালিকায় পুরো পোলিং পার্টির নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। এটা নির্বাচনী নিরপেক্ষতার বিরোধী।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্টতই জানানো হয়, ‘এতে যাঁরা পরিচিত মুখ, ভোটের সময় তাঁরা নিরপেক্ষ হিসেবে কাজে সমস্যায় পড়বে। আদালতের পর্যবেক্ষণের পরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সচেতন হয়নি। আমরা ভোট কর্মীদের সুরক্ষার যথাযথ পদক্ষেপের দাবি করছি।’ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফে বিক্ষোভের পাশাপাশি সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্যের কাছে দাবিসনদও দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়, সমস্ত ডকুমেন্টস তুলে ধরে দাবি করা হয় যে, ভোট কর্মীদের সমস্ত তথ্য যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কোনওভাবেই ভোট কর্মীর দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এই তালিকা বাতিল করতে হবে।