গত বেশ কয়েকদিন ধরে সবজির দামে কার্যত কপালের ভাঁজ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সব কিছুর মধ্যে টমেটোর দাম ও কাঁচালঙ্কার দাম যেন সব মাত্রা পার করে গিয়েছে। কলকাতা ও শহরতলির একাধিক বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচালঙ্কা। টমেটোর প্রতি কেজির দাম রয়েছে ১৩০-১৫০ টাকা। আবার কাঁচালঙ্কার প্রতি কেজিতে দাম ছুঁয়ে ফেলেছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে আমজনতাকে উদ্ধার করতে এবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারও। চড়া সবজি মূল্যের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সুফল বাংলার স্টলগুলিতে কম দামে সবজি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজারে যেখানে দাম মাত্রাছাড়া সেখানে সুফল বাংলায় দাম অনেকটাই কম। যেমন, বাজারে কাঁচালঙ্কার দাম ৩০০ টাকার উপরে থাকলেও কাঁচালঙ্কার কেজি সুফল বাংলায় রয়েছে ১৫০ টাকা। আবার ভিণ্ডির দাম বাজারে যেখানে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে সুফল বাংলার স্টলে তা মিলছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। পটলের দাম বাজারে রয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। সেই একই পটল সুফল বাংলার স্টকে রয়েছে ২৩ টাকা কেজিতে। এছাড়া টমেটোর দাম বাজারে রয়েছে ১৩০-১৫০ টাকা কেজি। কিন্তু রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সুফল বাংলার স্টলে তা মিলবে ৮৯ টাকা কেজি হিসেবে।
অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট, যে কোনও সবজির দামই সুফল বাংলার স্টলে সাধারণ বাজারের তুলনায় কম। যেমন ঝিঙের কেজি সুফল বাংলায় ৬৫ টাকা হলেও, বাজারে দাম রয়েছে ৮০ টাকা কেজি। কুমড়োর কেজি যেখানে রয়েছে ৩০ টাকা, সেই একই কুমড়ো সুফল বাংলায় মিলছে ২০ টাকায়। আলুর কেজি সুফল বাংলার কলকাতার স্টলে ১৮ টাকা ও চন্দ্রমুখী আলুর কেজি ২০ টাকা। প্রসঙ্গত, কলকাতায় সবজি বাজারের যে চড়া রেট রয়েছে তার পিছনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে বলেও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের মুখেও। জানা গিয়েছে, একাধিক সবজির দাম বাজারে ইচ্ছে করে বাড়িয়ে রেখেছিলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিধাননগরের এবিএসই মার্কেটে বিষয়টি দেখতে হানা দেয় রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স টিমের সদস্যরা। সেখানে বিষয়টি নজরে আসতেই বিক্রেতাদের সঠিক দাম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।