আর্থারাইটিস সারাতে হাতের কাছেই আছে উপায়

নানা কারণে বাতের ব্যথা বা জয়েন্ট পেন এখন ঘরে-ঘরে। এদিকে সমীক্ষা বলছে, আমাদের দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। ৬০ বছরের উপরে ১৮ শতাংশ মহিলা ও ৯.৬ পুরুষ এই ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। শুধু বেশি বয়সের মানুষই নন, কমবয়সীরাও বাতের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। অনিয়মিত, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বংশগত কারণ, রোগের প্রভাব, এইসব নানা কারণে আর্থারাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদিকে আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে বেশ কিছু খাবার যা আর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমায়। তাই আর্থারাইটিসের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই ডায়েটে যোগ করুন এই সব খাবার।

 

আপেল- কথাতেই আছে, ‘অ্য়ান অ্যাপেল অ্যা ডে, কিপস দ্য় ডক্টর অ্যাওয়ে।’ অর্থাৎ শরীরের জন্য আপেল ভীষণ উপকারি একটি ফল। আর্থারাইটিসের জন্যও এই ফলের জুড়ি নেই। এতে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট রয়েছে। যা ব্যথা কমায়। এছাড়া এতে উপস্থিত কোয়ারসেটিন দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

 

চেরি- টার্চ চেরি বাতের জন্য অত্য়ন্ত কার্যকর। এতে অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে। যা চটজলদি বাতের ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে।

 

আনারস- আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন। যা যেকোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জয়েন্টের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয় এই ফল।

 

কমলালেবু- ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস হল কমলালেবু। এছাড়াও রয়েছে অক্সিডেটিভ, যা আর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই বেশি করে কমলালেবু খান।

 

ব্লু-বেরি- জয়েন্টের ব্যথা সারার সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কিংবা খনিজ পদার্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। সেই কারণে নিয়ম করে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র‍্যাসপারবেরি খান।

 

মাছ- বাতের ব্যথা থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে ওমেগা-থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ। এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন চিংড়ি, কাঁকড়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন এই ধরনের মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু গবেষণা বলছে, টানা আট সপ্তাহ এই ধরনের মাছ খেলে যেকোনও ধরনের প্রদাহ কমে। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে বাতের ব্যথারও।

 

রসুন- প্রাচীনকাল থেকেই বাতের ব্যথার উপশম হিসেবে ব্য়বহার হয়ে আসছে রসুন। বাতের ব্যথায় আরাম পেতে রসুন- তেল মালিশ করার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। এর পাশাপাশি গোটা রসুন খেলেও উপকার পাবেন।

 

আদা- রসুনের মতো আদার ভেষজ গুণও অসাধারণ। সর্দি, কাশি তো বটেই, চা, স্যুপ কিংবা সরবতে আদা মিশিয়ে খেলে বাতের ব্যথাতেও আরাম মেলে।বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা নিয়মিত আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কাঁচা হোক বা রান্না করা আদা সবসময়ই উপকারি।

 

ব্রোকোলি- ব্রোকোলি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। সঙ্গে ব্য়থাও কমে।

 

পালং শাক- শরীরের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে আর্থারাটিসে আরাম দিতে সিদ্ধহস্ত পালংশাক। সারাবছরই এটি পাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু।

 

আঙুর- অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আঙুর ফল খেতেও সুস্বাদু। শরীরে ইনফ্লেমেটারি কমিয়ে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এই ফল। তবে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে আঙুর না খাওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + fifteen =

preload imagepreload image