আইআইএম জোকা–কাণ্ডে গোটা তদন্তে যেন ‘অসহযোগিতা’ করছেনখোদনির্যাতিতাই। একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও খোঁজ নেই নির্যাতিতার।এদিকে যে ঘটনা ঘটেছে আইআইএম জোকাতে তাতে এমন ঘটনায় বিচারকের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার গোপন জবানবন্দি দিয়ে থাকেন নির্যাতিতারা।একইভাবে মেডিকোলিগ্যাল টেস্টও করা হয়। যা সাধারণ ভাবে ধর্ষণের ঘটনার পর হয়ে থাকে।সেই টেস্টের সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতার তরফ থেকে সম্মতি মেলেনি। আর তার সম্মতি ছাড়া এই টেস্ট অসম্ভব।কিন্তু সেই নির্যাতিতার জন্য তিনবার তিনদিন ঠিক করেও তাঁর দেখাই মেলেনি। ফলে জবানবন্দি দেওয়া তো দূর-অস্ত।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার জোকা আইআইএম–এ ধর্ষণের ঘটনায় গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য নির্যাতিতাকে আলিপুর আদালতে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এদিনও তাঁর দেখা মেলেনি। যার জেরে জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। আর সেই কারণেই আপাতত চতুর্থবারের জন্য আরও পরের সপ্তাহের শুক্রবার আরও একটি দিন ধার্য করল আদালত।
এদিকে সূত্রে খবর, নির্যাতিতার গরহাজিরা হাতিয়ার করে আইআইএম–কাণ্ডে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করে তার সওয়ালকারী। এমনকি, অভিযোগকারী বা নির্যাতিতার বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাল্টা জেল হেফাজতের আবেদন জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী। যাতে সায় দেয় আদালত। খারিজ হয় অভিযুক্তের জামিন আবেদন।