রাজ্য পেরিয়ে এবার দিল্লির বুকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা। এদিন সন্দেশখালির ১১ জন পুরুষ ও মহিলা রাষ্ট্রপতি ভবনে যান বলে খবর। রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন তাঁদের নির্যাতনের কথা। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলকে বিঁধতে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে এনে চাপ বাড়িয়েই চলেছে বিরোধীরা। একটাই লক্ষ্য়, সন্দেশখালির মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে কোণঠাসা করা। এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালির মহিলারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতেই লোকসভা ভোটের মুখে তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ হয়েছে নয়া মাত্রার।
সূত্রে খবর, ৬ জন মহিলা এবং ৫ জন পুরুষ, মোট ১১ জন সন্দেশখালি থেকে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে। আর তা আনা হয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা অবনতি হয়েছে তা তুলে ধরছে বিজেপি। মহিলা নির্যাতনের ইস্যুকে সামনে রেখেই জনমত নিজেদের পক্ষে সংগঠিত করতে চাইছে পদ্ম শিবির। দিল্লির মাটিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকও করেন পদ্মশিবিরের নেতারা।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কিন্তু, ফিরতে হয় মার খেয়ে। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। কিছুদিন যেতে না যেতেই লাগাতার উঠে আসতে থাকে নারী নির্যাতনের খবর, জমি দখলের অভিযোগ। অভিযোগের তির শেখ শাহাজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। রাতভর মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হত বলেও অভিযোগ উঠে আসতে থাকে। পাশবিক সেই সব অত্যাচারের কথা ক্যামেরার সামনেও বলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। যদিও এরইমধ্যেই প্রথমে পুলিশের জালে পড়ে শাহজাহানের প্রধান দুই শাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার। তারপরেই ধরা পড়ে শাহজাহান নিজেও। কিন্তু, নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির মহিলাদের দিল্লি যাত্রা যে রাজনৈতিকভাবে এক আলাদা মাত্রা দিতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।