আরজি কর কাণ্ডে এবার আইএমএ-র কোপে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। এই ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে চলে আসেন বিরূপাক্ষ। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এবার তাদেরই পথে হাঁটল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও। সিবিআই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে।
আইএমএ-র তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিরূপাক্ষকে, তাতে লেখা হয়েছে, ‘আপনি এই মুহূর্তে সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যদপ্তর আপনাকে সাসপেন্ড করেছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের রাজ্য় শাখাও সাসপেন্ড করেছে।’ যতক্ষণ না সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পান ততদিন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা শাখা থেকে সাসপেন্ড থাকবেন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস।
আরজি কর ঘটনার আবহে ভাইরাল ‘হুমকি’র অডিওকে কেন্দ্র করে চর্চায় এসেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। শোনা যাচ্ছিল, ৯ অগাস্ট সকালে অর্থাৎ তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। এদিকে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও ওঠে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সে চালাতো তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’।
এরপরই একের পর এক বিতর্কে নাম জড়ানো বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। কিন্তু সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসককে হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে বাধা দেন হাসপাতালের কর্মী, এলাকাবাসী। এসবের জেরে স্বাস্থ্যভবন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিরূপাক্ষকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেয়। স্বাস্থ্যভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আপাতত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হল। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি কোথাও কাজে যোগ দিতে পারবেন না।