‘গ্রাউন্ড জিরো গর্ভনর হতে চাই।‘ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে নির্বাচন সংক্রান্ত এবং অন্য়ান্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায়এমনই বার্তা দিতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। ২ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসে রাজ্যপাল একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়ে জানান, ‘আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, তা পালন করুন কমিশন। অশান্তি হলেই সরেজমিনে তদন্ত হবে।‘ তবে সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে ‘সক্রিয়’ রাজ্যপাল। মনোনয়ন পর্বে অশান্তির পর, ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শনে যেতে দেখা যায় তাঁকে। এবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রেখে পাহাড়ের বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল বলেন, ‘অশান্তির আশঙ্কায় ভোটের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাখার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এদিকে অনেকেই মনোয়ন জমা দিতে পারেননি। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, কমিশন তা পালন করুন কমিশন। এটা দেখা আমার দায়িত্ব।’
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য়ে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন শুরু হয়ে গিয়েছে রুটমার্চও। পাহাড়ে কোথায় কত বাহিনী তাও পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। কালিম্পংয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে।
এর আগে, উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। স্রেফ বিক্ষোভ নয়, বৈঠকের আগে সিভি আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। উঠে গো-ব্য়াক স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘মুখ্য়মন্ত্রীকে না জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ করছেন রাজ্য়পাল।‘ এদিকে রাজ্যে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার বৈঠক করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই যে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল, তাঁদের সঙ্গেই বৈঠক করেন আচার্য। এদিকে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে আদালত জানিয়েছে। সে সঙ্গে অবিলম্বে ওই উপাচার্যের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা চালু করতে নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তা জেনে নিশ্চিন্ত উপাচার্যেরাও। পাশাপাশি বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে দেশের এডুকেশন হাব করার লক্ষ্যে এ দিন উপাচার্যদের নিয়ে আলোচনাও হয়।