মেয়রের নির্দেশে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হলেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর

মেয়রের নির্দেশে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হলেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। সোমবার সকালে রাজডাঙা পূর্বপাড়ার কল ভেঙে দেওয়া এবং তুলে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসীদের একাংশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই খোদ বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পর কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে কথা বলেন মেয়র।

সূত্রের খবর, যে জায়গাগুলিতে কল ভেঙে বা তুলে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফের কল বসিয়ে দেওয়া এবং চালু করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র। এদিকে পৌরসভার সূত্রে খবর, মেয়র জল সরবরাহ বিভাগের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন এই ধরনের কাজ কোন কাউন্সিলর বললে সেটা যেন মেয়রের কাছে আগে জানানো হয়। কারণ জল অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই কোন জায়গায় কল ভেঙে  দেওয়া বা তুলে দেওয়ার আগে মেয়রকে জানাতে হবে।

ফাইলে সই করলে তবেই মিলবে অনুমতি। মঙ্গলবার সকালে এলাকার কাউন্সিলর লিপিকা মান্না এলাকায় আসেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কলগুলি পুনরায় বসিয়ে দেওয়ার কথা জানান। সেইমতো পুরসভায় জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা এসেছেন এবং কাজ শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে খাল পাড়ের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ছিল, তাঁদের এলাকার চারটে কল তুলে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর লিপিকা মান্নাকে বলতে গেলে তিনি তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এমনও অভিযোগ, ভোট দেন না বলে, মিছিলে হাঁটেন না বলেই তাঁদের এলাকার কল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও  লিপিকা মান্নার বক্তব্য ছিল, লিপিকা মান্না বলেন, ‘চারটে জায়গায় ১২টা ২৪ টা কল দেওয়ার পরও কীভাবে আমি এলাকাবাসীকে এই ধরনের কথা বলতে পারি। যদি বলতামই, তাহলে আবার ২৪ টা কলই বা কেন দেব? এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক কথা। এই রকম কোনও সিচুয়েশন তৈরি হয়নি। আমি এলাকায় ঘুরেছি, ওদের সমস্যার দেখেছি, যখন একটা জলের পাইপ লাইন বসিয়েছি, সার্বিকভাবে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − three =