২০২৬-এ আমাদের জিততেই হবেঃ মিঠুন

বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ২০২৬-এ। অর্থাৎ, মাঝে খুব বেশি হলে মাত্র একটি বছর। এমনই এক প্রেক্ষিতে বিস্ফোরক এক উক্তি করে বসতে দেখা গেল রুপোলি পর্দার তারকা তথা বাঙালির ‘মহাগুরু’ এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে এই উক্তি থেকে এটা স্পষ্ট যে ভুল হয়েছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তা আর করতে রাজি নয় বঙ্গ বিজেপি। সব ভুল ত্রুটি সামাল দিয়ে এবার পাখির চোখ ২০২৬-এর বঙ্গের মসনদ দখল।

প্রসঙ্গত, এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গেল, ‘এবার আমাদের জিততে হবেই।’ সঙ্গে এও জানান, দলের নেতা হিসেবে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সবাইকে আলাদা আলাদা দায়িত্ব দেওয়া আছে। তাঁকেও আলাদা দায়িত্ব দেওয়া আছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে বাংলার ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে ২০২১-এ অনেক আশা জাগিয়েও তেমন ভাল ফল করতে দেখা যায়নি স্যাফ্রন ব্রিগেডকে। এমনকী তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা। তবে এই ঘটনার জন্য মিঠুনকে দায়ী করতে দেখা গেল নিজেদের অন্তর্দ্বদন্দ্বকেই সামনে আনতে। স্পষ্টই জানান, ‘আসলে বিষয়টা হল, আমরা তৃণমূলের সঙ্গে লড়িনি। নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়েছি।’ অর্থাৎ,এই অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির এটাই স্পষ্ট মিঠুনের বক্তব্যে।  আর ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে মিঠুনের অনুরোধ, যে ৯ শতাংশ হিন্দু ভোটার, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেন না, তাঁরা যাতে বিজেপিতে ফিরে আসেন।একইসঙ্গে তাঁর সতর্কবাণী, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি না জিতলে হিন্দু বাঙালিরা বিপদে পড়বে।

তবে মিঠুনের এই অনুরোধে চিঁড়ে ভিজবে না বলেই জানাচ্ছেন শাসক শিবিরের নেতারা।তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এই প্রসঙ্গে এও জানান, ‘এর আগে অমিত শাহের পাশে বসে মিঠুন বলেছিলেন এক কোটি সদস্য হলে রাজ্যটা বিজেপির হবে। সেই টার্গেটেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। এবারও তাঁর কথায় কেউ ভোট দেবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =