বৃষ্টিতে ভেসেছে গণেশ চতুর্থী। বৃষ্টি হয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোতেও। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, অক্টোবরের শুরুতেই আছড়ে পড়তে পারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এই সাইক্লোটি আছড়ে পড়লে সেটির নাম হবে তেজ। ভারতের তরফে এই নামটি দেওয়া হয়েছে। উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ, দক্ষিণ ওডিশায় এই সাইক্লোনের সমচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালানোর সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড় প্রভাব ফেলতে পারে বিহার, পশ্চিমবঙ্গেও। ফলে অক্টোবরের শুরু থেকেই পুজোর মরশুমে এই ঘূর্ণিঝড় সমস্ত বাজার ভেস্তে দিতে পারে। দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয় বিহার, ওডিশা, কর্নাটক, দিল্লি, অসম সহ একাধিক রাজ্যে ধুমধাম করে দুর্গোৎসব পালিত হয়। পাশাপাশি একইসময় দেশজুড়ে পালিত হয় নবরাত্রি উৎসব। কিন্তু, আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে একাধিক রাজ্যে। তবে আইএমডি-র তরফে এখনও কোনও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তবে একাধিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থার তরফে খবর, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হবে। যা ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। অ্যাকিউ ওয়েদারের আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদ জেসন নিকোলাস জানিয়েছেন, ‘সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে একটি জোরাল ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে।’
এরই পাশাপাশি একাধিক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞও জানাচ্ছেন, পূর্ব ভারতের দিকে ছুটে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রভাব ফেলবে পূর্ব ভারতে, এমনটা আগে অবশ্য জানিয়েছিল আইএমডি। এটিই সাইক্লোনে রূপান্তরিত হবে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আপডেট দেয়নি মৌসম ভবন।