উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার সেখানে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দুপুরে বিমানে চড়ে চোপড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার শিশুর। ঘটনাটি ঘটে ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তে দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সীমান্ত এলাকায় ড্রেন কাটার কাজ চলছিল। আচমকা সেখানে মাটিতে ধস নামে। সেই সময় কয়েকজন বাচ্চা খেলছিল। মাটির ধসে চাপা পড়ে যায় তারা। এই ঘটনার পরই তৈরি হয় বিতর্ক। গ্রামবাসীদের দাবি, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে এই ড্রেন কাটার কাজ চলছিল। পাল্টা উদ্ধারকারী বিএসএফের বক্তব্য, এখানে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে পথেও নেমেছে শাসকদল তৃণমূল।
এদিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি, তারা জানতে পেরেছে মাটি কাটার এই কাজে বিএসএফ-এর কাছে উপযুক্ত কোনও অনুমতি ছিল না। কমিশনের অভিযোগ, বিএসএফ-এর দায়িত্বজ্ঞান হীনতার জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন। এরপর কোনও রকম অসাবধানতা থাকতলে এই দুর্ঘটনা নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন তুলিকা রায়ের প্রশ্ন, ‘কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই বিএসএফ কীভাবে খনন কাজ করল? রাজ্য সরকার যখন কাজ করে তখন সুরক্ষা থাকে। ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা থাকে। বিএসএফ যদি সুরক্ষা নিয়ে খনন করত এই ঘটনা ঘটত না। অকারণে চারটি শিশু মারা গেল। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’