ডিসেম্বর দোরগোড়ায়। এখন শীতের আমেজ উপভোগ করার মরশুম। তবে এই শীতের আগমনীতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গপোসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত এবং তা থেকে তৈরি হওয়া একের পর এক নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়। এর জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আরও শক্তি বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপটির। বৃহস্পতিবার এটির শক্তি আরও বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ডিসেম্বরের শুরুতেই এটি আবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব সাগরের উপর অবস্থান করবে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। মায়ানমারের তরফে দেওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম মিগজাম। ইতিমধ্যেই তার গতিবিধি ট্র্যাকও করতে শুরু করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে দুর্যোগের প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব দেখা যাবে না বাংলায়। পড়বে পরোক্ষ প্রভাব। এমনই খবর মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফে। এদিকে আগামী কয়েকদিনে রাতের পারদ চড়বে, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবাহাওয়া দফতর। কারণ, শীতের পথে বাধা হতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্জা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে পারে ৩০ নভেম্বর। তার প্রভাবে পারার খুব একটা বড়সড় পতন আগামী কয়েকদিন বাংলায় দেখা যাবে না।সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।সঙ্গে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
সঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে এও জানানো হয়েছে য়ে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে, দক্ষিণ আন্দামানের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখের মধ্যে এই নিম্নচাপটিও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে খবর। যদিও এর অভিমুখ কোনদিকে হবে, তা এখন-ই স্পষ্ট নয়।উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের মাটি হালকা বৃষ্টির স্বাদ পেলেও পেতে পারে। এছাড়া গোটা বাংলায় আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই।