দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ-ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দুই বিধায়ক জেতার পর এক মাস ধরে বসে আছে। শপথ নিতে পারছে না। রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না।’ রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা আরও বলেন, ‘মানুষ নির্বাচিত করেছেন, ওঁর কি অধিকার আছে শপথ নিতে না দেওয়ার। উনি স্পিকারকে বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন, অথবা নিজে যাবেন বিধানসভায়।’ রাজভবনে যেতে যে মহিলা বিধায়কদের আপত্তি আছে, সে কথাও এদিন বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ওঁরা রাজভবনে কেন সবাই যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি ঘটছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।’
এদিকে রাজভবন সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত রাজভবনে অপেক্ষা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পরে তিনি দিল্লি চলে যান। অন্য়দিকে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় ধরনায় বসেছেন সায়ন্তিকারা। রাজভবনে যেতে রাজি নন তাঁরা।
এদিকে তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর, এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছে তৃণমূল। এদিন লোকসভার বাইরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রয়োজনে সাংসদরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের বিষয়ে কথা বলবেন। সুদীপও এদিন বলেন, ‘মহিলা বিধায়ক রাজভবনে যেতে চাইছেন না, তার কারণ আলাদা করে ব্যাখ্যা করছি না।’
শপথ নেওয়ার ঘটনায় মুখ কুলতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরীকেও। তিনি জানান, দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে যা ঘটছে তা ঠিক নয়। একইসঙ্গে তিনি এও মনে করেন, রাজ্যপাল এবং স্পিকারের আলোচনা করে এই সমস্যা দ্রুত মেটানো উচিত।