শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দিন সকালেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বলেন, ‘বাংলায় আমরা দেখলাম একটা শেষের শুরু।’ এদিন রাজ্যপাল বোস বলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্তর গ্রেফতার সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। এটা সবে শুরু বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরই পাশাপাশি এদিন রাজ্যপাল এও জানান, বাংলায় হিংসার সমাপ্তি ঘটাতে হবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে এমন অনেক ‘পকেট’ রয়েছে, যেখানে দুষ্কৃতীরাই শাসন করছে। সঙ্গে রাজ্যপাল এও জানান, ‘আমরা যেটা দেখছি সেটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র।’ এ নিয়ে গত পঞ্চায়েত ভোটের তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন রাজ্যপাল।
এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথায়, গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ময়দান ঘুরে দেখেছেন। নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছেন গুন্ডাদের কী ভীষণ দাপট। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি এও জানান, ‘বাংলার অনেক জায়গাতেই এটা চলছে। কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। এর শেষ হওয়া উচিত। আগামিদিনে এটাই পাখির চোখ হওয়া উচিত।’
একইসঙ্গে রাজ্যপালের বার্তা, গণতন্ত্রের প্রতি ধৈর্য রাখা উচিত। বিচার ব্যবস্থার প্রতিও সকলের আস্থা রাখতে হবে। ন্যায় বিচার হবেই। একইসঙ্গে রাজ্যপাল বোসের বক্তব্য, ‘সরকারের তরফে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সেটা দেখা উচিত সরকারের। এখন অ্যাকশনের প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’ রাজ্যপালের বক্তব্য, সমস্ত অপরাধীর আত্মসমর্পণ করা উচিত।
এরই পাশাপাশি মহিলাদের সম্মানরক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসারও বার্তা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারকে আমি চরমসীমা বেঁধে দিতে পারি না। রাজ্যপালের কাজ নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করা। আমি মাঠে নেমে দেখেছি, গুণ্ডা গ্যাং আছে। বাংলার বিভিন্ন অংশে আছে। যেমনটা ইংল্যান্ডে ছিল অতীতে। আমাদের একজোট হয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। গ্যাংস্টারদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া উচিত। যদি তারা আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে আইন তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিক। এটাই হল আমার অ্য়াকশন প্ল্যান। এটা সবে শুরু হয়েছে। এখন দৌড় অনেক বাকি আছে। তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।’