আরজি করে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে সন্দীপের বিরুদ্ধে বেওয়ারিশ লাশ পাচারের ঘটনাও

আরজি করে কান পাতলেই শোনা যায় সন্দীপ ঘোষের দাপটের কাহিনী। ছাত্র থেকে ডাক্তার, সবার ওপরেই চলত খবরদারি। এমনকী হাসপাতালে পড়ে থাকা দাবিদারহীন মৃতদেহ নিয়েও নাকি চলত ব্যবসা। অভিযোগ নতুন নয়। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি, যিনি হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করেছেন, তাঁর অন্যতম অভিযোগ ছিল এই ‘মৃতদেহের ব্যবসা’ নিয়ে। বেওয়ারিশ লাশ পাচার করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ তুলেছিলন তিনিও। আর একই রকম অভিযোগ তুললেন ওই হাসপাতালের মর্গের প্রাক্তন কর্মীদের মুখেও। তবে এই অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁরা জানা্ন, এই ঘটনা প্রমাণ তাঁরা করতে পারবেন না। তবে শুনেছেন, আনক্লেমড বডি থেকে অর্গান নিয়ে নেওয়া হত। পাঠিয়ে দেওয়া হত বেসরকারি হাসপাতালে।’ সন্দীপ ঘোষের আমলেই এইসব শুরু হয় বলে দাবি করেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইএনটি বিভাগের ওয়ার্কশপের জন্য কয়েকটি মৃতদেহ চাওয়ার ঘটনার কথাও জানান তাঁরা। তৎকালীন এইচওডি এই দেহ দিতে রাজি হননি। মৃতদেহের সম্মান নষ্ট হোক, তা তিনি চাননি। সেই সময় সন্দীপ ঘোষের বাহিনী চড়াও হয়েছিল বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিল। অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকিও দেওয়া হয় বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। দাবিদারহীন মৃতদেহ সৎকারের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেটা মানা হত না বলেই অভিযোগ তাঁদের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − five =