অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে শেষে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে ইডি। আর এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল থেকে। সেই মোবাইল থেকেই একটি কল রেকর্ডিং হাতে আসে ইডির। এই কল রেকর্ডিংয়ে ইডির সন্দেহ, এর মধ্যে একটি কণ্ঠ সুজয় ভদ্রের। এদিকে বৃহস্পতিবার সেই সুজয় ‘ঘনিষ্ঠ’ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার ডাক পড়ে নিজাম প্যালেসের সিবিআইয়ের অফিসে। দীর্ঘক্ষণ পর নিজাম থেকে বেরিয়ে রাহুল বেরা যা দাবি করলেন, তাতে আরও চাঞ্চল্যকর। রাহুলের দাবি, যে কল রেকর্ডিং এতদিন ধরে ইডির স্ক্যানারে, সেখানে রাহুলের কোনও কণ্ঠস্বরই নেই।
এদিকে রাহুল বেরার আইনজীবীও বৃহস্পতিবার এসেছিলেন সিবিআই অফিসে। তিনি জানালেন, রাহুলকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কল রেকর্ডিংয়ে তাঁর কণ্ঠস্বর রয়েছে কি না। এই প্রসঙ্গে রাহুলের দাবি, সেখানে তাঁর কোনও কণ্ঠস্বরই নেই। তাঁর ফোন থেকে অন্য কেউ কথা বলে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সেটি ফরেন্সিকে পাঠাতে পারে বলেও দাবি রাহুলের আইনজীবী।
ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই কল রেকর্ডিংয়ে রাহুলের কণ্ঠস্বর না থাকে, তাহলে কার কণ্ঠস্বর রাহুলের ফোনে তা নিয়ে। জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি রাহুলের ফোন অন্য কেউ ব্যবহার করতেন কি না তা নিয়েও। তাঁর ফোন থেকে কে কথা বলতো সেটাও নাকি জানেন না রাহুল। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করলেন রাহুল ও তাঁর আইনজীবী। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, রাহুল মাঠে খেলতে যেত, সেই সময় কেউ তাঁর ফোন ব্যবহার করতে পারে। যদিও সুজয় ভদ্রের সঙ্গে পরিচিতির কথা অস্বীকার করেননি রাহুল। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল নাকি গাছের চারা দিতে সুজয় ভদ্রের বাড়িতে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন। এর বেশি কোনও পরিচিতি নেই বলেই দাবি রাহুল বেরার।