কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার আগেই তিনি দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই কংগ্রেস সহ বিরোধী শাসিত বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও তিনি অংশ নেবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৈঠকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যের বঞ্চনা নিয়েও তিনি সরব হবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁকে বক্তব্য পেশে বাধা দিলে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসবে বলেও শুক্রবার হুঁশিয়ারি আগে থেকেই দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সহ বিরোধী পক্ষের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যোগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকে বিষয়টিকে বিরোধী শিবিরের মধ্যে মতপার্থক্যের জের বলেও দাবি করেছিলেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার ভাবনাচিন্তা থাকলে সে বিষয়ে বিরোধী শিবিরের সবাইকে আগে থেকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হত।’
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমন্বয়ের অভাব নেই। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন এও বলেন, যদি আগে থেকে জানাতো হত বাকিরা বয়কট করছে, ‘নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম৷ ইন্ডিয়া জোটে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। প্রতিদিন লোকসভায় জোটের বৈঠক হচ্ছে। মত বিনিময় হচ্ছে৷’ মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, আগামী দিনে যে রাজ্যগুলিতে ভোট রয়েছে, সেখানেও ভাল ফল করবে জোট।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাজেটেরও তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এটা রাজনৈতিক বাজেট৷ বন্ধুদের সাহায্য করুক। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে অন্য রাজ্যকে কেন বঞ্চনা করা হবে? বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে ।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার সময় চাননি তিনি৷ সময়ের অভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক শেষ করেই কলকাতার বিমান ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷