পকসো আইনের ধারা যুক্ত করতে বিলম্ব কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠতেই যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার পকসো আইনের ধারা যুক্ত করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। যেহেতু নিহত ছাত্রের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাই এই আইনের ধারা যুক্ত করা হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। তবে প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুলিশের কেন এতটা সময় লেগে গেল এই ধারা যুক্ত করতে তা নিয়েই। যাদবপুরের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যুর পরই তাঁর বাবা যে খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাতে ছেলের বয়সও স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন। ১৮ বছরের নীচে ছেলের বয়স, সেই অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লেখাও ছিল। অথচ তা নজরে আসেনি কলকাতা পুলিশ আধিকারিকদের।

সূত্রের খবর, রবিবার ১৩ অগাস্ট সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ফোন যেতেই তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ। জানানো হয় পকসো অ্যাক্ট যোগ করা হবে। এত বড় ঘটনায় পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলে তা কী করে গেল, সে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

কোনও মামলায় পকসো আইন ঢুকে পড়া মানে সেই ঘটনায় প্রথমেই পরিচয় গোপনের বিষয় আসে। নিহত, আক্রান্ত বা হিংসার শিকার যে, সে নাবালক বা নাবালিকা হলেই পরিচয় নাম, ছবি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। একইসঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকজনের পরিচয় সামনে আনার ক্ষেত্রেও থাকে আইনি বাধ্যবাধকতা।

সূত্রের খবর, শনিবার শিশু সুরক্ষা কমিশন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়ার পর এই পকসো আইনের বিষয়টি সামনে আসে। পকসো আইন যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে গিয়ে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট দিয়ে আবেদন করতে হয়, এই ধারাগুলি যুক্ত করা হোক। তার কারণও উল্লেখ থাকে রিপোর্টে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই করতে হবে কলকাতা পুলিশকে।

যদিও ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের বাবা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের বুকের মধ্যে থেকে যে হারিয়ে গিয়েছে তার ওই ১৭-১৮ বয়স, তার নাম উঠে আসা আমার কাছে আর ভ্যারি করে না। আমার তরফে কোনও বাধা নিষেধ আমি দিতে চাই না। আমার তরফ থেকে আমি ডিক্লিয়ারেশন দিতে পারি আমার ছেলের নাম কোথাও ব্যবহার করা হলে, আমার নাম ব্যবহার করা হলে আমার তরফে কোনও আপত্তি নেই।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =