ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক, ইয়েস ব্যাংক, তার ডিজিটাল শীর্ষস্থান ২০২৬ আর্থিক বর্ষে আরও মজবুত করল। আর এই লক্ষ্যে তারা পৌঁছাতে পেরেছে ডিজিটাল পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাগুলোকে ব্যবহার করার মাধ্যমে। এর ফলে UPI-তে পেয়ি PSP হিসাবে বাজারের ৫৫.৩% ইয়েস ব্যাঙ্কের দখলে আর পেয়ার PSP হিসাবে বাজারের ৩৩.৩% দখলে রেখেছে তারা। শুধু তাই নয়, এই ব্যাঙ্ক আধার–সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম (AePS)-এও শীর্ষে। লেনদেনের প্রায় ৩০% এবং দেশজুড়ে ৭.৯ লক্ষের বেশি আউটলেট–এর পার্টনার নেটওয়ার্কের পাশাপাশি NEFT লেনদেনের ২৪% এই ব্যাঙ্কের দখলে। সব মিলিয়ে গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন ব্যাঙ্ককে নিজের স্থান দৃঢ় করতে সাহায্য করেছে।ডিজিটাল মাধ্যমকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক রিয়েল–টাইম অপারেশনের জন্যে ১,৫০০+ API ইন্টিগ্রেট করেছে এবং ব্যক্তিগত সেভিংস অ্যাকাউন্টের ৯২%, কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ৯৩% আর ক্রেডিট কার্ডের ৯৮% কাজ ডিজিটাল মাধ্যমে করে তার ফ্ল্যাগশিপ IRIS এবং IRIS BIZ সুপার অ্যাপের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার–এ সক্রিয় অবদান সহ ইয়েস ব্যাংক CBDC, OCEN, ONDC ও এমবেডেড ফাইন্যান্সে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ‘ডেলিভার দ্য ব্যাঙ্ক’-এর মত গ্রাহক উদ্যোগও চালু করছে।
এই প্রসঙ্গে অজয় রাজন, কান্ট্রি হেড – ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং গভমেন্ট, MNC অ্যান্ড নিউ ইকোনমি বিজনেস, IBU অ্যান্ড নলেজ ইউনিটস, ইয়েস ব্যাংক জানান, ‘ভারতীয় ব্যাংকিংয়ে সকলের জন্যে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং দৃঢ়তার ব্যবস্থা করা আমাদের বৃহত্তর ভাবনার অংশ ছিল বরাবরই। আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো যে আকার নিয়েছে তা এই বদলের প্রমাণ। ডিজিটাল পরিকাঠামো আর টেক টুলগুলোর সঙ্গে উদ্ভাবন মিশিয়ে ভারতীয় ব্যাংকিংয়ের ডিজিটাল রূপান্তরে অংশগ্রহণ করতে এবং নেতৃত্ব দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এটা দেশজুড়ে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।’
এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, উদ্ভাবন, বিশ্বাস আর গ্রাহকদের উপর জোর দেওয়ার শক্তিতে বিশ্বাসী ইয়েস ব্যাঙ্ক। একইসঙ্গে লক্ষ্য পার্সোনালাইজড, মসৃণ ও প্রযুক্তিক্ষম ব্যাঙ্কিং সমেত নিজেকে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও গভীরে প্রোথিত করা।