সরস্বতী পুজোর দিন ডিএসও এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চুলোচুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল যোগমায়া দেবী কলেজ। যোগমায়া দেবী কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন বর্তমানে রয়েছে ডিএসও-র দখলে। যোগমায়ার ডিএসও কর্মীদের অভিযোগ আশুতোষ কলেজ ও শ্যামাপ্রসাদ কলেজের ‘বহিরাগত’ টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, ডিএসও-র কর্মীরাই তাদের উপর প্রথমে হামলা চালায়। বিষয়টি নিয়ে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে।
এদিকে ডিএসও-র অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে পুজোর মধ্যে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। যে দলীয় ব্যানার লাগানো হয়েছিল সেই ব্যানারের প্রতিবাদ করতে যাওয়াতেই বিপত্তি শুরু হয়। যোগমায়া দেবী কলেজের ডিএসও সমর্থক এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘শ্যামাপ্রসাদ ও আশুতোষ কলেজের একদল পড়ুয়া গেট ধাক্কা দিয়ে ঢুকে আমাদের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছে। এমনকী আমাদের এক অধ্যাপকের উপরেও অত্যাচার চালিয়েছে। কাউকে ছাড়েনি। পুলিশকে যখন ফোন করতে যাব, তখন আমাদের ফোন কেড়ে নিয়েছে।’ ডিএসও সমর্থক অপর এক ছাত্রী আরও মারাত্মক অভিযোগ তুল জানান, তাঁদের শারীরিক নির্যাতন হয়েছে। আর এই ঘটনার প্রমাণ ধরা পড়বে কলেজের সিসিটিভিতে যে কী ধরনের আক্রমণ করা হয়েছে। ছাত্রীদের শাড়ি টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও তুললেন এক ছাত্রী।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থক ছাত্রীদের বক্তব্য, ডিএসও সমর্থক ছাত্রীরাই প্রথমে তাঁদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় ব্যানার দেখার পরই যোগমায়ার ডিএসও সমর্থক ছাত্রীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেছিল। আর এরপরই টিএমসিপি সমর্থকদের উপর চড়াও হয় তারা, অভিযোগ তেমনই।