চিঁড়ে ভাতের চেয়ে ভালো এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, চিঁড়েয় ৭০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খুঁজলে চিঁড়ে খেতেই পারেন। এই খাবার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। ভাতও কার্বোহাইডেটে পূর্ণ। কিন্তু ভাত খেলে শরীর ভারী লাগার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে ঘুমও পেতে পারে।
এদিকে রোদে শুকিয়ে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চিঁড়ে তৈরি করা হয় তাতে এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে। এ কারণে গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চিঁড়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিঁড়াতে একটু লেবুর রস যোগ করলে আয়রন শোষণ করা সহজ হয়।
শুধু তাই নয়, চিঁড়ে পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এটা হজম করতে সমস্যা হয় না। এতে ক্যালরিও কম, তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা চিঁড়ে খেতেই পারেন। কাঁচা চিঁড়েয় চর্বি ও চিনি নেই। এখানে আরও একাট ব্য়াপার বলতেই হয়, সবজি যোগ করে ভাজার পরও চিঁড়ের পুষ্টিগুণের কোনও পরিবর্তন হয় না। তবে তেল সহযোগে তৈরি করলে তৈরির সময় অবশ্যই সঠিক পরিমাণ এবং বিশুদ্ধ তেল ব্যবহার করা জরুরি।
চিঁড়ে ভাতের থেকে ভাল কারণ, ফাইবার সমৃদ্ধ। ১০০ গ্রাম চিড়াতে ২ থেকে ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। একই পরিমাণ চিঁড়েয় প্রায় ৭০ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটা চালের মত পালিশ করা হয় না। চিড়া খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ফার্মেন্টশন প্রক্রিয়ায় তৈরি চিঁড়েয় কিছু প্রোবায়োটিক গুণও রয়েছে। চিঁড়েয় প্রোটিনের বিপাকের ফলে ভালো ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে। যার ফলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভাতে এ ধরনের সুবিধা নেই।