পেশা অনলাইন ফুড ডেলিভারি হলেও পার্ট টাইমে তিনিই করতেন সাইবার প্রতারণা। একটি অনলাইন জালিয়াতির মামলার তদন্তে নেমে এমন তথ্যই সামনে এল।
ঘটনাস্থল গুজরাত। তবে তাতে জড়িয়ে গেল কলকাতার নামও। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাপ কাজ না করায় গুজরাতের এক শিক্ষক ইন্টারনেটে সার্চ করে ওই ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর খুঁজে বের করেন। এরপর ওই নম্বরে ফোন করেন ওই শিক্ষক। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির পরামর্শ মেনে চলতে গিয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি দেখেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২ লক্ষ টাকা। এরপর গুজরাত পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় যোগাযোগ করেন প্রতারিত ব্যক্তি। তদন্তকারী দলের বুঝতে দেরি হয়নি, রিমোট অ্যাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের মোবাইলের দখল নিয়েছিল প্রতারকেরা। এরপর মোবাইলে থাকা তথ্য হাতিয়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থেকেই ২ লক্ষ টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়।
তদন্তে জানা যায়, কলকাতার এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। এরপরই গুজরাতের সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ একটি বিশেষ দল গঠন করে রওনা দেন কলকাতায়। রবিবার লেক থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিপিন রায় নামে ওই যুবককে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই যুবক পেশায় ফুড ডেলিভারি বয়। কাজের ফাঁকে তিনি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ মনে করছে, তিনি একা নন, চক্রে থাকতে পারে আরও অনেকেই।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে এই চক্রের আসল মাথারা। ওই যুবকের সম্ভবত টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই টাকার বিনিময়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ভাড়া নিয়েছিল মূল প্রতারকরা। গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা হাতানো হতো, তার উপর কমিশন পেতেন ওই যুবক। কলকাতা পুলিশের তথ্য থেকে আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবককে এর আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।