ভাঙড়ে প্রতিবাদ মিছিলে লোক ভরাতে পারলে পুরস্কার। অন্যথায় হতে পারে শাস্তি, এমনই খোলামেলা বার্তা ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলামের। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা রজ্জাক খান খুনে তপ্ত রয়েছে ভাঙড়। তারই খুনের প্রতিবাদে একটি মিছিল বার করার কথা। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, বুধবারের প্রতিবাদ মিছিলে যে বুথ যত বেশি লোক দেবে, সেই বুথে আলাদা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। আর লোক আনতে না পারলে বঞ্চিত হবেন ‘মাল’ থেকে। আর এই শব্দবন্ধ ‘মাল’ কী তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, বাহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। যে সভার ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বাহারুলের পাশে বসে রয়েছেন পূর্ব ক্যানিংয়ের বিধায়ক শওকত মোল্লাও। কার্যত, শওকতকে পাশে বসিয়েই এমনই বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে বাহারুলকে। তবে এরপর এই বার্তা বদলায় ফরমানে। স্পষ্ট জানান, রজ্জাকের খুনের প্রতিবাদ সভায় বুথ প্রতি লোক আনতে হবে, বৃষ্টি মাথায় নিয়েও। শুধু তাই নয়, কে কত সংখ্যক লোক আনতে পেরেছেন তারও ভিডিও করে দিতে হবে। সঙ্গে বাহরুল এও জানান, যে বুথ সব থেকে বেশি লোক বার করবে, লোক বার করে ছবি কিংবা ভিডিয়ো তুলে দিতে পারবে তাদের আলাদা করে ‘প্রাইজ’ দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত রাস্তায় লোক রাখার দায়িত্ব সেই নেতার। যে পারবে না, সে কিন্তু মাল থেকে বঞ্চিত হবে।
কিন্তু এই প্রাইজ কী তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এটা কি কোনও অর্থমূল্য নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ, ‘তৃণমূলে এখন লোক নেই। তাই মাল দিয়ে লোক বার করতে হবে।’