ইডি ডাকবে না, নিশ্চিত যশ, প্রত্যয়ী নুসরতও

এখন বঙ্গ রাজনীতিতে অনেক ইস্যুকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে নুসরত জাহানের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগের ঘটনা। নুসরতের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির শঙ্কুদেব পণ্ডা। তবে এর পাল্টা উত্তরও দিতে দেখা গিয়েছিল নুসরতকে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এদিকে এক বিস্ফোরক উক্তি করে বসতে দেখা যায় যে সংস্থা থেকে নুসরত ঋণ নিয়েছিলেন তারই ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে। তিনি স্পষ্ট জানান, এমন কোনও টাকা দেওয়া হয়নি নুসরতকে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, যে সংস্থা থেকে ঋণ নেওযার কথা সামনে এসেছে সেই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত নিজেও।

তবে এবার নুসরতের পাসে এসে দাঁড়াতে দেখা গেল যশ দাশগুপ্তকে। শুধু তাই নয়, ফ্ল্যাট বিতর্কে শনিবার এই প্রথম মুখ খুললেন যশ দাশগুপ্ত। এদিকে তাঁকে ইডি তলব করবে না আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান নুসরতও।

নুসরতের পাশে দাঁড়িয়ে টলিপাড়ার জনপ্রিয় নায়ক যশ দাশগুপ্ত জানান, ‘বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। কে কী বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। আগে কোর্ট কিছু বলুক। তারপর এই নিয়ে মন্তব্য করব।’ টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় নায়ক আরও বলেন, ‘সময় প্রমাণ দেবে।’ কিন্তু, এরই মধ্যে ইডি-র তরফ থেকে তলব করা হতে পারে কি না সেই প্রসঙ্গে নুসরতের পাশেও দাঁড়াতে দেখা যায় যশকে। নুসরতের মতো তিনি ১০০ শতাংশ প্রত্যয়ের সঙ্গে জানান, নুসরতকে ডাকা হবে না।

এখন কথা হল, ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে?

বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট তৈরি করার নামে সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার মাধ্যে প্রায় ২৪ কোটি টাকা নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত। আর এই প্রসঙ্গেই প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আর এই প্রতারণার টাকায় তিনি নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন, উঠেছে এমন অভিযোগও। শঙ্কুদেব পণ্ডা বিষয়টি নিয়ে প্রথম সরব  হওয়ার পর এরপর শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি নেতাকেও সরব হতে দেখা যায় নুসরতের বিরুদ্ধে।

এই ঋণ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা টলি অভিনেত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি ছিল মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে তিনি এক কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিয়েছিলেন ফ্ল্যাট কেনার জন্য এবং পরবর্তীতে তিনি তা সুদ সমেত ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই লেনদেন নথি তাঁর কাছে রয়েছেন বলেও মন্তব্য ছিল নুসরতের। পাশাপাশি তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, এমনটাই দাবি ছিল নুসরত জাহানের। তবে সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিং অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, নুসরতকে কোনও লোন দেওয়া হয়নি। ফলে নুসরতের এই ঋণ নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেসব মিলিয়ে জল ঘোলা হয়েছে বেশ ভালোমতোই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 4 =