সামনেই ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ। তার জন্যে দলের নেতা-কর্মীরা হোর্ডিং-ব্যানার টাঙাচ্ছেন কলকাতা থেকে শহরতলির নানা জায়গায়। রেওয়াজ রয়েছে এই হোর্ডিং বা ব্যানারে লেখা থাকে যার উদ্যোগে এই হোর্ডিং বা ব্যানার তৈরি করা হচ্ছে তাঁর নামও। তবে এবারে কিছু ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তৃণমূল হাই কম্যান্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সব হোর্ডিং বা ব্যানারে নিজেদের নাম-ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না কেউই। থাকতে পারবে শুধু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ছবি। একইসঙ্গে এবার হোর্ডিং-ব্যানারের বয়ান, ডিজাইনও এ বার দল ঠিক করে দিয়েছে।
২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে এ বারের ২১শের সমাবেশ বঙ্গ-রাজনীতির বড় ইভেন্ট নিঃসন্দেহে এই ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস পালন। সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক লোক জড়ো করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। সেখানে বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতাদেরও আমন্ত্রণের পরিকল্পনা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এই সমাবেশ হয়ে উঠতে পারে বিরোধীদের ঐক্য মঞ্চ। সমাবেশ সফলে কোমর বেঁধে নেমেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। পাড়ায় পাড়ায় চলছে দেওয়াল লিখন। হোর্ডিং-ব্যানারে ছেয়েছে রাস্তাঘাট। রাস্তায় ঘুরছে ট্যাবলো।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা,’২১ জুলাইকে সামনে রেখে পাড়ার ছোটখাট নেতারা হোর্ডিং-ব্যানারে নিজেদের নামটা জুড়ে দেন। কেউ আত্মপ্রচারে দলনেত্রীর ছবির পাশে নিজের ছবিটাও সেঁটে দেন। এ সব করে অনেকে অনেকের থেকে টাকাও তোলেন। তাতে দলের বদনাম হয়। এটা বন্ধ করতেই হোর্ডিং-ব্যানার নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত।’
সদ্য পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ায় এ বার ২১শের সমাবেশে রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনায় দলীয় কর্মীদের দায়িত্বও বিশেষ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের থাকার জায়গাও বাড়ানো হয়েছে। যেমন, গতবার কসবার রাজডাঙা স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার জনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এ বার সেটা তিরিশ হাজার করা হয়েছে। বিধাননগরেও থাকার জায়গা বাড়ানো হচ্ছে।