মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হল ১০ ও ৫০ হাজার কিউসেক জল

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) জানিয়েছে, প্রায় ২০ হাজার কিউসেক জল কম ছাড়া হবে জলাধারগুলি থেকে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ কার্ষকর হয়েছে। ডিভিসির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যথাক্রমে ১০ হাজার এবং ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। এরই পাশাপাশি ডিভিসির তরফে এও জানানো হয়েছে পশ্চিমবাংলা ও ঝাড়খণ্ডে লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে জলস্তর ছাপিয়ে গিয়েছে৷ পাশাপাশি তাদের বক্তব্য তেনুঘাট বাঁধের জল ছাড়ার বিষয়টি নির্ভর করে থাকে ঝাড়খণ্ড সরকারের উপর। এদিকে ইতিমধ্যেই হুগলি-হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবারও হুগলির পুরশুড়ায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দামোদর অববাহিকায় বন্যার সম্ভাবনাকে ‘ম্যান মেড’ বন্যাও বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এবং হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্লাবিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখার পর ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষকে এ ভাবে ডোবালে ডিভিসির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না।’ শুধু তা-ই নয়,  এই ইস্যুতে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবারও দামোদর উপত্যকার বিভিন্ন বাঁধ ও জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ডিভিসি এক বিবৃতিতে বলে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে মোট ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। নতুন করে জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া ও হুগলি জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আবহাওয়ার কারণে জলস্তর ক্রমাগত ব়ৃদ্ধি থাকায় মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধের উপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তাই মাইথন থেকে ১০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 6 =