দিনের ব্যস্ত সময়ে মহাত্মা গান্ধি মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা ২ জনের

দিনের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা। মহাত্মা গান্ধি রোড স্টেশনে। সূত্রে খবর, দুপুর ২টো ২৭ মিনিটে চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন ২ জন। যার জেরে কিছু সময়ের জন্য আংশিক ব্যাহত মেট্রো চলাচল। সেই সময় কবি সুভাষ থেকে ময়দান এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম পর্যন্ত রুটে মেট্রো চলাচল করছিল বলে মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে মেট্রোর থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে ওই ২ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান হয়। তাঁদের উদ্ধার করে পাঠান হয় হাসপাতালে। ২ টো ৫৮ মিনিটে ফের স্বাভাবিক হয় মেট্রো চলাচল।

কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধি রোড স্টেশনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ মারেন ২ জন। তাঁদের মধ্যে একজন পুরুষ, অপর জন মহিলা। দ্রুত খবর যায় কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপরেই থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে তাঁদের উদ্ধার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঠান হয় হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে একটি আত্মহত্যার ঘটনাকে ঘিরে ওঠে নানা প্রশ্ন। বিশেষত, ঘটনা আরও ধোঁয়াটে হয় ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। সেই সেই ঘটনায় মৃতদের নাম ছিল বুবাই সর্দার ও মামণি সর্দার। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ওই দু’জন আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রশ্ন ওঠে, ওই মহিলা কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিলেন, না কি তাঁর স্বামীই তাঁকে নিয়ে একসঙ্গে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন তা নিয়ে। জানা যায়, বুবাই সর্দার ছিলেন পেশায় বাসচালক। আর আয়ার কাজ করতেন মামণি সর্দার। তাঁরা ছিলেন প্রমোদনগরের বাসিন্দা। অশান্তি হওয়ায় এক সময়ে প্রমোদনগরের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মামণি। পরে অবশ্য ফিরে আসেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বেড়াতে যাওয়ার নাম করে মামণিকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন বুবাই। তার পরেই এই ঘটনা ঘটে। বুবাইকে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে মামণিকে প্রথমে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 14 =