বাংলাদেশে অ্যাম্বুল্যান্সে বিস্ফোরণ , মৃত ৭

অ্যাম্বুল্যান্সে বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল ভারতেরই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ঘটে গেল এমন ঘটনা। পদ্মা সেতুর পাড়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সাতজনের। সূত্রে খবর, শনিবার ফরিদপুর জেলায় পদ্মা সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি অ্য়াম্বুল্যান্স। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে বিস্ফোরণ। আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে বেশ কয়েকজন ছিলেন। এঁদের মধ্যে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে সাতজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ পদ্মা সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকা যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে দ্রুতগতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে ফ্লাইওভারের ডিভাইডারে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অ্য়াম্বুল্যান্সে রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের কারণেই আগুন ধরে যায়। আগুনে পুড়ে যে সাতজন মারা গেছে তাঁদের নাম ও পরিচয় শনিবার বিকেল পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের পুলিশের ধারনা, মৃতরা একই পরিবারের সদস্য়।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারিপুর জ়োনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এদিনের এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরই অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।‘ অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভাঙ্গা স্টেশনের সাব-অফিসার রনেন্দ্রনাথ চৌধুরী জানান, ‘অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুনও নেভায়।’

এদিকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে নিহতরা সকলে এক পরিবারের সদস্য। এখনও অবধি সাত জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গেলেও, নিহতের সংখ্যা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।‘ একইসঙ্গে ভাঙ্গা থানার ওসি এও জানান,’দুর্ঘটনায় ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক মৃদুলও গুরুতর আহত হন। বছর একচল্লিশের মৃদুলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =