হাইকোর্টে বড় ধাক্কা ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের। ভাঙড় মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সিনহার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের জেরে পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন না ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। তবে ১৫ দিন পর ফের শুনানি করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকে’র ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম উধাওয়ের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। কারণ, তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় কমিশন। সেই মামলায় হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ওই ৮২ জনের মনোনয়নপত্র ফের খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। সব ঠিকঠাক থাকলে ওই আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিতে হবে। বিচারপতি সিনহার ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
মঙ্গলবার এই মামমলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের মন্তব্য, এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ভিন্ন রায় আছে। তাই এই মামলার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। সঙ্গে বেঞ্চ এও জানানয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে আদালত এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করছে না।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্বে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। সেই পরিস্থিতি ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলেই অভিযোগ আইএসএফ প্রার্থীদের। এরপরই তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত নির্দেশ দেয় পুলিশ প্রহরা মধ্যেই দিয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবে। সেই মতো মতো প্রার্থীরা সব নিজেদের কেন্দ্রে মনোনয়ন দাখিল করেন। কিন্তু কমিশন ৮২ জন প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। কমিশনরে দাবি, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাই বাতিল করা হয়েছে।