রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একেবারে মুখোমুখি দেখা হল একসময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘মাওবাদী’ তকমা পাওয়া ঝাড়গ্রামের শিলাদিত্য চৌধুরীর। রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাতও মেলাতে দেখা যায় শিলাদিত্যকে। এরপরই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন জল্পনা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন শিলাদিত্য কি না তা নিয়ে। রবিবার বিজেপির তরফ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ভীমপুরে একটি রোড শো-তেই ঘটে এই সাক্ষাৎ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রোড-শোতে ভীমপুর থেকে পিড়াকাটার দিকে যাওয়ার সময় উলটো দিক থেকে একটি বাসে করে আসছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। বিরোধী দলনেতাকে দেখতে পেয়েই বাসের ভিতর থেকে জানালা দিয়ে মুখ বের করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাত মেলান শিলাদিত্য।
প্রসঙ্গত, একন থেকে ১১ বছর আগে ঝাড়গ্রামের এই কৃষক শিলাদিত্য চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় শিলাদিত্যর কপালে জুটেছিল মাওবাদী তকমা। শুধু তাই নয়, সঙ্গে জুটেছিল হাজতবাসের অপমান এবং আতঙ্ক। জীবনের সেই অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে গেলে আজও শিউরে ওঠেন শিলাদিত্য। তিনি বলেন, ‘দিদিকে প্রশ্ন করেছিলাম ধানের দাম কম কেন? সারের দাম বেশি কেন? দিদি আমাকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করান। দু’দিন পর বিনপুরে লক-আপে পুরে দেন।’ শিলাদিত্যের এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা সরব হন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা। এখন তিনি বিজেপিতে। তাই এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শিলাদিত্য চৌধুরীর এই করমর্দনকে খুব একটা হালকাভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।