২২ মার্চ সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ

২২ মার্চ বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ যাচ্ছেন সন্দেশখালিতে। আর তাঁর সন্দেশখালি যাওয়াতে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানাল আদালত। এদিকে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে। কখনও ফিরতে হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে, কখনও শুভেন্দু অধিকারীকে। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালি যান শুভেন্দু। এদিকে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে। আগামী ২২ মার্চ ফের ওই এলাকায় যেতে চায় বিজেপি। তার আগে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেতানেত্রীরা। ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বুধবার সেই মামলায় অনুমতি দিল আদালত। অর্থাৎ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন ভারতী ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির একটি দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বেরজা মূল পঞ্চায়েত এলাকায় যাওয়ার সময় বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে তাদের আটকায় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে আটকানো হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে প্রায় টেনে হিঁচড়ে প্রথমে টেকনো সিটি পরে নিউটাউন থানায় নিয়ে গিয়ে রাতে গ্রেফতারও করা হয়। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান তাঁরা। সন্দেশখালি থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে এইভাবে হেনস্থার কারণ কী তা নিয়ে এদিন ভারতী ঘোষের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করেন আদালতে।

উত্তরে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই দলের একাধিক নেতার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রয়েছে, তাই সেখানে গেলে তাদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত।’ তবে এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত, তাই ওই নেতাদের যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী ২২ মার্চ সন্দেশখালি যাবেন মামলাকারীরা। পাশাপাশি, গত ৭ মার্চের ঘটনায় সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। আগামী ২২ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − two =