ভোট প্রচারে হলদিয়ায় যাওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার পরিদর্শনে গেলেন খোদ নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের তিন সদস্য। সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ওই হেলিকপ্টারে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। একটি গাড়িতে চেপে কমিশনের তিন প্রতিনিধি সেখানে আসেন। তাঁরা জানান, তাঁদের সেখানে যেতে বলা হয়েছিল। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, এই তল্লাশির কাজ শুধু অভিষেক নয়, নির্বাচনের সময় সব নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর হানার অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। আয়কর হানার কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারির কপ্টার, যাতে করে আগামী সোমবার হলদিয়া যাওয়ার কথা অভিষেকের, সেই কপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতরের আধিকারিকদের একটি দল।
এদিকে রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি আজ তাদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ কিছুই পাওয়া যায়নি।’ এদিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা ওই কপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ওই কপ্টারের প্রতিটা কোণায় তল্লাশি চালান আয়কর আধিকারিকেরা৷ প্রত্যেকটা ব্যাগেও তল্লাশি চালানো হয়৷ কিন্তু, তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন অভিষেক৷ এখানেই শেষ নয়, এরপর দীর্ঘক্ষণ সেই কপ্টারের পরীক্ষামূলক উড়ান আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ৷ তবে এরপর রবিবার আয়কর দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়, , দুপুর আড়াইটে নাগাদ আয়কর দফতরের একটি টিম বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত ও পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি।