কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অবশেষে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনে চিঠি এল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। ফলে এটাও স্পষ্ট হল এবার, বাহিনী নিয়ে জট কাটতে চলেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী অবিলম্বে জেলায় যাবে।
এদিকে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন হবে, তা নিয়েই একটা জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। সোমবার বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটা প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয় রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে। কিন্তু প্রথমে সিআইএসএফ কোথায় যাবে, কিংবা বিএসএফ কোথায় মোতায়েন হবে, তা নিয়ে আলাদা কোনও তালিকা দেয়নি কমিশন। কারণ, কমিশনের তরফে যুক্তি ছিল, বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ঠিক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেবলমাত্র কোন জেলায় কত ফোর্স থাকতে পারে, সেরকম একটা আর্জি তারা পাঠাতে পারে। আর ঠিক এই জটেই আটকে ছিল বাহিনী মোতায়েন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য ছিল, এটা কমিশনের ঠিক করার বিষয়। আবার কমিশন পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ৩১৫ কোম্পানির বাহিনী কোন জেলায় কত মোতায়েন হবে, তা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে ঠিক হবে। এখানেই তৈরি হচ্ছিল সমস্যা। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি ও সিআরপিএফের ডেপুটি কম্যান্ড্যান্টের সঙ্গে কমিশন চার দফা বৈঠকও করে। এরপর কমিশন সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যে তালিকা পাঠিয়েছে, তাতে কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে, তার একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, বাহিনী দ্রুত জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তবে রাজ্যের দাবি মতো বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী, সেটা বুধবার স্পষ্ট হতে পারে। কারণ, বুধবার মামলার শুনানি রয়েছে। আরও একটা ঘটনা নজরে আসে, মনোনয়ন পর্ব মিটে গেলেও, অশান্তি আর হিংসা ঘটনা কিন্তু থেমে থাকেনি। বহু অভিযোগ এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি।