পঞ্জাবের কাছে হার রাজস্থানের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের সামনে। বাধা হয়ে দাঁড়াল হারের হ্যাটট্রিক। রাজস্থান নিজেদের শেষ দুটো হোম ম্যাচ খেলছে গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে। আর এই ঘরের মাঠকে বুঝেই উঠতে পারলেন না সঞ্জুরা। প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। প্রথম দুইয়ে থাকতে হলে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততেই হত সঞ্জুদের।

এদিকে আবার বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা ইংল্যান্ড প্লেয়াররা অনেকেই দেশে ফিরে গিয়েছেন। যার ফলে পঞ্জাব কিংসের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন দলে ছিলেন না। স্যাম কারন, জনি বেয়ারস্টোরা এটিই শেষ ম্যাচ খেললেন। এবার তাঁদেরকেও দেশে ফিরতেই হবে। তবে যাওয়ার আগে পঞ্জাবকে অনবদ্য একটা জয় উপহার দিলেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক স্যাম কারান। প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতে একটা দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি এল এদিন স্যামের ব্যাট থেকে।

 

টুর্নামেন্টে আলোচনায় রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং লাইন আপ। তাদের বিরুদ্ধে বড় স্কোর করা কঠিন। কিন্তু বোর্ডে রান না থাকলে মরিয়া চেষ্টা করলেও ডিফেন্ড করা কঠিন। সেটাই হল গুয়াহাটিতে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে রাজস্থান। সর্বাধিক ৪৮ রান করেন রিয়ান পরাগ। আর পঞ্জাবের সামনে রাখা হয় মাত্র ১৪৫-এর টার্গেট। তবে পঞ্জাবের ইনিংস শুরু হতে মনে হয়েছিল রাজস্থান যেমন ব্যাটিংয়ে সমস্যায় পড়েছিল, একই পরিস্থিতির সামনে পড়তে হতে পারে পঞ্জাব কিংসকেও।

ট্রেন্ট বোল্ট-আবেশ খানের অনবদ্য বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৩৯ রানেই তিন উইকেট হারায় পঞ্জাব কিংস। এরপরই ছোট ছোট জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পঞ্জাব। অনেকাংশে সফল। ১১১ রানে পঞ্জাবের পঞ্চম উইকেট তুলে নেওয়ার পর স্বস্তিতে ছিল রাজস্থান শিবির। কিন্তু তখনও ক্রিজে স্যাম কারান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা আশুতোষ শর্মা সঙ্গ দেন।

এ বারের আইপিএলে অন্যতম আবিষ্কার এই আশুতোষ। ১১ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলেন। উল্টোদিকে অধিনায়ক স্যাম কারানও অপরাজিত ৪১ বলে ৬৩ রানে। বল হাতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ফলে ম্যাচের সেরা স্যাম কারানই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =