ডায়াবেটিসে পাকা আম খাবেন না কাঁচা আম!

ডায়াবেটিসে অনেকরকম খাবারদাবারই নিষিদ্ধ থাকে।  কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা আম খেতেও বারণ করেন। কিন্তু আম কি সত্যিই সুগারের রোগীদের খাওয়া উচিত নয়, এ প্রশ্ন সবারই। কাঁচা ও পাকা আম কি একইরকম সমস্যা ডেকে আনে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, এনিয়েও জল্পনা কম হয় না।

তবে পুষ্টিবদরা জানাচ্ছেন, আমের গ্লিসিমিক ইনডেক্স বিচার করলে প্রতি ১০০ গ্রাম আমে পাঁচ ভাগের একভাগ চিনি থাকে। তবে এটি পাকা আমের কথা। অন্যদিকে এই চিনি প্রাকৃতিক শর্করা। যা সহজে বিয়োজিত হয় না। সময় নেয়। অ্যাডেড সুগার বা প্রসেসড সুগার খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায়। প্রাকৃতিক শর্করার সময় লাগে। তাই সুগার স্পাইক হয় না চট করে।  তাই কাঁচা আম তুলনায় বেশি খাওয়া যায়। কারণ এতে সেই ভয় নেই।

 

কাঁচা আমের গুণ

 

কাঁচা আমের মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ থাকে। এগুলি শরীরের কী কী উপকার করে জেনে নেওয়া যাক।

 

স্ট্রেস কমায় – কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। যা সামগ্রিকভাবে স্ট্রেস কমায়। এর থেকেই একাধিক ক্রনিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচা আম। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি।

ত্বক ও চুলের যত্ন – ভিটামিন সি ত্বকের নিচে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তারুণ্য ধরে রাখে। চুলের হেয়ার ফলিকলকেও পুষ্টি দেয় এই ভিটামিন।

হজমে সাহায্য করে – কাঁচা আমে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

 

পাকা আমের গুণ

চোখের জন্য ভাল  – পাকা আমের মধ্যে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি। যা চোখ ভাল রাখে।

ত্বক ভাল রাখে –  ত্বকের জন্যও ভিটামিন এ বেশ ভাল। এটি ত্বকের সমস্যাগুলি অনেকটাই দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – কাঁচা আমের চেয়ে পাকা আমে ভিটামিন সি কম। কিন্তু রয়েছে। তাই এটি রোগ প্রতিরোধী।

এনার্জি জোগায় – এর মধ্যে প্রাকৃতিক সুগারের পরিমাণ বেশি। তাই এটি এনার্জির ভাণ্ডার।

ক্যানসার ঠেকায় – বেটা ক্যারোটিনের গুণে সমৃদ্ধ পাকা আম। যা আদতে ক্যানসার প্রতিরোধী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 16 =

preload imagepreload image