২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাম-বাম জোট হয়েছে পঞ্চায়েতে নিচুতলায়। আর তা নাকি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এদিকে আবার পটনায় বিরোধীদের বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়ানোয় সিপিএমের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কেউ বলছেন‘দ্বিচারিতা’-র করছে সিপিএম। তবে বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের কথা মানতে চাইলেন না সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বরং সেলিম যা বললেন তার মর্মার্থ, ‘পটনার বৈঠক জোট গঠনের ছিল না। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে জোট হবে না।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এভাবে জোট করে দেশে কোনও সরকার হয়নি। ‘ তবে পঞ্চায়েতে নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে বামেদের জোটের বিষয়টি এদিন কার্যত এড়িয়ে সেলিমের দাবি,‘নেতা নয়, মানুষ এক হচ্ছে। দেখাতে পারবেন না সেলিম-অধীর-নৌশাদ হাত মিলিয়ে আছে। বামফ্রন্ট ও তাদের সহযোগী দল ছাড়া আর কোনও জোট হয়নি। মানুষের জোট হচ্ছে।’ একইসঙ্গে এও দাবি করেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদল হয়। আগে থেকে কিছু বলা যায় না। পঞ্চায়েত থেকেই মোড় ঘুরবে।‘
এদিকে পটনায় মহাজোটে ১৭ দলের মধ্যে আলোচনা হয় বিজেপির বিরোধিতা করতেই। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ন্যূনতম কর্মসূচি সামনে রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট লড়বে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী চাই। আঞ্চলিক দলকে তার রাজ্যে গুরুত্ব দিতে হবে। দুটি ফর্মুলাই গৃহীত হয় পটনার ওই বৈঠকে। এমনকী, বিজেপি বিরোধী সেই ফর্মুলার বাস্তবায়ন করতে জুলাইয়ে সিমলায় জোটের পরবর্তী নীতি নির্ধারণ বৈঠক। আর এখানেই পটনার বৈঠকের আহ্বায়ক নীতিশ কুমার আশাপ্রকাশ করেছেন, বৃহত্তর রূপ নেবে মহাজোট।
বিজেপির বিরুদ্ধে এই মহাজোট নিয়ে একমত সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। এখানেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, পটনার বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গিয়েছিল সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধিকে। এই ছবি কি বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমকেও অস্বস্তিতে ফেলছে কি না তা নিয়ে।