শুধু কলকাতাতেই টমেটো মহার্ঘ নয়, দেশ জুড়ে বেড়েছে টমেটোর দাম। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। একেবারে ওয়ান-ে-র মতো ঢংয়ে খেলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে টমেটো। তাতে কপালে ভাঁজ সাধারণ মধ্যবিত্তের। টমেটো কেনা বেচা চলছে তবে তা পরিমাণে যৎসামান্য।
টমেটোর হঠাৎ এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা যা বলছেন তাতে, ‘পশ্চিমবঙ্গে চাষ হওয়া টমেটো শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন যে টমেটো পাওয়া যাচ্ছে, তা আসছে বেঙ্গালুরু থেকে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা পরিমাণে অনেক কম। ফলে জোগান অনুযায়ী মিলছে না টমেটো। যার জেরে বাড়ছে দাম।’ এর রেশ চলবে প্রায় অক্টোবর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ পুজো পর্যন্ত টমেটো থাকবে অগ্নিমূল্য। কারণ, বাংলায় চাষ হওয়া টমেটো পেতে পেতে নভেম্বর মাস হয়ে যাবে তারপরেই কমবে দাম।
শুধু এ বছর নয়, প্রতি বছরে এ সময় বাংলায় টমেটো আসে বেঙ্গালুরু থেকে। এদিকে এবার কর্ণাটকেই টমেটোর উৎপাদন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কম হয়েছে। বৃষ্টির জেরে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে কর্ণাটকের টমেটোয় ওই রাজ্যেরই চাহিদাই মিটছে না। বেঙ্গালুরুতে প্রতি কেজি টমেটোর দাম রয়েছে ৮০ টাকা।
তার জেরে কলকাতা ও শহরতলিতে টমেটোর প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৮০-১০০ টাকা। চড়া দামে টমেটো কিনতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র যে টমেটোর দাম চড়া তা নয়, শহর কলকাতায় সবজি বাজারের দামের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। যেমন ঢ্যাঁড়শের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১০০ টাকা। উচ্ছেরও প্রতি কেজির দাম রয়েছে ১০০ টাকা। তবে বাজারে এখনও আলুর প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১৬-২০ টাকার মধ্যেই। এছাড়া বাজারে ঝিঙের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৮০ টাকা। তুলনামূলকভাবে সস্তা রয়েছে পটল। পটলের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৪০ টাকা। কুমড়োর প্রতি কেজির দাম রয়েছে ৩০-৪০ টাকা।
বাজারে মাছের দামও চড়া। কাতলা মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। রুই মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১৯০-২১০ টাকা। পাবদা মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩০০-৪০০ টাকা একইসঙ্গে মাংসের দামও অত্যন্ত চড়া। চিকেনের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। মাটনের প্রতি কেজিতে দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।