নিজের হয়ে সওয়াল করেও চিঁড়ে ভিজল না। বুধবারও জামিন পেলেন না মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, দু বছর ধরে তিনি জেলবন্দি। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও চার্জ ফ্রেম করতে পারেনি সিবিআই-ইডি। এদিকে মানিকের অভিযোগ, দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাই ধীর গতিতে তদন্ত করছে। এদিনের সওয়াল তিনি এই কথা আদালতে তুলে ধরলেও দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের শেষে জামিন অধরাই। অর্থাৎ, এ মাসের শেষ অবধি জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।
আদালত সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। এদিন নিজের হয়ে সওয়াল করেন মানিক ভট্টাচার্য নিজেই। আদালতে এদিন তিনি বলেন, দুবছর ধরে জেলে রয়েছি। শারীরিকভাবে অসুস্থ। বাম চোখে সমস্যা রয়েছে। যে কারণে মামলার নথি পড়তেও সমস্যা হচ্ছে।’ এরপরই নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি জানান, ‘এখনও আমার বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করতে পারেনি ইডি-সিবিআই। উলটে তারাই বার বার সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টে আমার বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছে। আদপে তারাই তদন্ত ধীরগতিতে চালাচ্ছে।’ এদিনও মামলার চার্জ গঠন হয়নি। মামলায় সবপক্ষকে নথি দেওয়া হয়নি বলে জানান তাপস মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত-ও। ২৯ জুন পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, আলিপুর কোর্ট থেকে সিবিআইয়ের প্রাইমারি সংক্রান্ত একটি মামলা ব্যাঙ্কশাল আদালতের ইডি কোর্টে পাঠানো হয়। আদালতে সশরীরে তোলা হয় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, দুই এজেন্ট পার্থ সেন ও কৌশিক মাঝিকে। এই মামলায় তাঁদের ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।