বিধানসভা উপনির্বাচনের পর সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে শপথ জটিলতা অতিক্রান্ত একমাস। বুধবার বিধানসভার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, আর দু’দিন অপেক্ষা করা হবে। রাজভবন শপথ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা না নিলে, সাংবিধানিক রীতিতেই বিকল্প ভাবে শপথ গ্রহণের পদক্ষেপ নেবে বিধানসভা। যদিও বিধানসভার সচিবালয় আশাবাদী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় শপথ জটিলতা কাটবে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৩টে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সেই সময় অতিক্রান্ত। তবুও নীরবই ছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। অবশেষে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি হোটেলের ছবি দিয়ে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘হোটেল তাজ প্যালেস, নয়াদিল্লির অকথিত কাহিনির নায়ক ভুলে যাচ্ছেন, আইনত চলতি শপথ বিতর্কে তাঁর ভূমিকা নেই। তিনি ছাড়াও সব হতে পারে। সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবা ভুল। যাদের বুদ্ধিতে চলছেন, তারা আপনাকে আরও ডোবাবে। বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবাদিক বৈঠকে নজর রাখুন।’ এর আগেও রাজ্যপালকে হোটেল-হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল। তবে, মূল বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি। বৃহস্পতিবারের ট্যুইটেও তিনি দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলের কথা উল্লেখ করলেও কোনও আভাস এখনও দেননি। তবে, বিতর্ক যে উসকে দিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি আগামী ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই বিচারপতি মামলার শুনানির পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন।
লোকসভা ভোটের সঙ্গে বাংলার দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে (বরাহনগর, ভগবানগোলা) জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। কিন্তু ফল ঘোষণার প্রায় ১ মাস হলেও শপথ নিতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত এই দুই প্রার্থী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জেদের জেরে তা থমকে আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের। রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে শপথগ্রহণের বদলে স্পিকারের কাছে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করতে আগ্রহী সায়ন্তিকা-রেয়াতরা। এমনকী বিধানসভায় এসে রাজ্যপালও শপথ করাতে পারেন বলে মত তাঁদের। যা মানতে নারাজ আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতিতে সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে।