মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলির পর এবার ছত্তিশগড়ের বীজাপুর। মাওবাদীদের পাতা আইইডি ব্লাস্টে দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে খবর। যে দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন তাঁরা হলেন ছত্তিশগড়ের রাজ্য টাস্ক ফোর্সের প্রধান কনস্টেবল ভারতলাল সাহু এবং কনস্টেবল সাতের সিং। জানা যাচ্ছে, এই আইইডি ব্লাস্টের ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে তারেম থানা এলাকার অন্তর্গত মন্দিমার্কার জঙ্গলে। মাওবাদী দমন অভিযান সেরে ফেরার পথে আইইডি বিস্ফোরণের কবলে পড়ে প্রাণ হারান দুই জওয়ান। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন পুরুষোত্তম নাগ, কোমল যাদব, সিয়ারাম সোরি এবং সঞ্জয় কুমার নামে আরও চার জওয়ান। সূত্রে খবর, জেলা হাসপাতালে তাঁরা এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। তবে সকলকেই এয়ারলিফ্ট করে রায়পুরে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
সূত্রে এ খবরও মিলেছে, ছত্তিশগড়ের পশ্চিম বস্তার এলাকা, দর্ভ ডিভিশন এবং মিলিটারি কোম্পানি ২-এ মাওবাদীদের গোপন আস্তানার খবর এসে পৌঁছয় এসটিএফ-এর কাছে। এরপরই বীজাপুর, দান্তেওয়ারা এবং সুকমা জেলার এই সীমানা এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান শুরু করে এসিটিএফ, ডিআরজি, কোবরা এবং সিআরপিএফ -এর একটি যৌথ বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছিল এই স্পেশ্যাল অপারেশন। গোটা এলাকায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। যাবতীয় প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বলেও খবর। তবে তা সত্ত্বেও মাওবাদীদের রাখা আইইডি সম্পর্কে কেন কোনও খবর এল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।
এদিকে, বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাফল্য পায় নিরাপত্তা বাহিনী। মাত্র ৬ ঘণ্টায় ১২জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়। মাওবাদীদের ব্যবহার করা প্রচুর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড় রাজ্যের সীমানায় ভান্ডোলি এলাকায় এই অভিযান চলেছে বলে খবর। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১২ জন নকশাল নিহত হয়েছে। গভীর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩টি একে-৪৭, ২টি ইনসাস, একটি কার্বাইন এবং একটি এসএলআর সহ সাতটি স্বয়ংচালিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গড়চিরোলির পুলিশ সুপার নিলোৎপল জানিয়েছে, প্রায় ৬ ঘণ্টার এই গুলির লড়াইয়ে সি-৬০ বাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং একজন জওয়ান সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। নাগপুরে নিয়ে এসে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় বেশ কয়েকদিন ধরেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। চার সেনা জওয়ানেপ শহিদ হওয়ার পর এবার সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু হয়েছে বলে খবর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আরও দুই জওয়ান আহত হয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার মাওবাদী দমন নিয়ে সাফল্যের কথা উল্লেখ করলেও এই ধরণের ঘটনা নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।