লোকসভা নির্বাচনে কাজের জন্য এই প্রথম পুলিশ কর্মীদের জন্য সাম্মানিক বরাদ্দ করল নবান্ন। এতদিন নির্বাচনে কাজ করার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা পেতেন ভোটকর্মীরা । তবে সেই তালিকায় নাম থাকে না রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার-সহ পুলিশ কর্মী বা আধিকারিকদের। রাজ্য পুলিশের ৩০ হাজার ১৭৪ জন কর্মী ও অফিসারকে দেওয়া হবে এই সাম্মানিক। ডিজি স্তর থেকে থানার অফিসার ইনচার্জরা সাম্মানিক হিসাবে পাচ্ছেন এক মাসের বেসিক বেতন। আর তার নিচের কর্মীরা পাবেন ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে। সবমিলিয়ে পুলিশকর্মীদের সাম্মানিক দেওয়ার জন্য প্রায় ৩২ কোটি (৩১,৯৬,০৬,৫০০) টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভোটের ডিউটি করার জন্য এত বড় আকারে সাম্মানিক দেওয়ার নজির রাজ্য পুলিশে নেই। নবান্নের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে গত মে মাসেই ভোটের কাজে ব্যবহৃত পুলিশ কর্মীদের সাম্মানিকের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রস্তাব যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফে সেই প্রস্তাব যায়। আগে ভোটের জন্য কোনও পুলিশ কর্মী অন্য জেলাতে গেলেও একটিও টাকা পান না। ১৫ দিনের জন্য এক এক জন পুলিশকর্মী দু’হাজার টাকা করে পান। তাঁদের থাকা-খাওয়া-খরচ বাবদ একটা ব্যয় হয়। সেই কারণেই ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফে সম্মানিক প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে এই সাম্মানিক প্রদান করেছে। ১ কোটি খরচ হয়েছে এই জন্য । বাকি ১২ হাজারের জন্য প্রস্তাব গিয়েছে নবান্নের কাছে। যার পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি! যদিও পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রথমবারের জন্য হলেও এটি নির্বাচনের নিয়ম অনুসারেই প্রদান করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মতো সিভিল কর্তৃপক্ষ এবং সেন্ট্রাল ফোর্সকে এই সাম্মানিক প্রদান করা হত।
এবার পুলিশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হল। এডিজি, আইজি, পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার এসপি, জয়েন্ট কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, অ্যাডিশনাল এসপি, অ্যাডিশনাল সিপি, এসডিপিও-সহ উচ্চপদে কর্মরত এমন প্রায় ১ হাজার ৩৮২ জন তাঁদের এক মাসের ‘বেসিক পে’ সাম্মানিক হিসাবে পাবেন। এছাড়া আরও প্রায় ২৮ হাজার ৭৯২ জন পুলিশ কর্মী সাম্মানিক হিসাবে পাবেন ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে।