আরজি কর কাণ্ডে কলকাতায় জাতীয়  মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। লালবাজারে গিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা, এমনটাই সূত্রে খবর।

অন্যদিকে আরজি করে নৃশংস ঘটনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। পিজিটি ডাক্তার ‘তিলোত্তমা’র নৃশংস খুনের ঘটনায় ফুটছে রাজ্য। তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার আরজি করের সেমিনার রুম থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গত ৭২ ঘণ্টায় এই নিয়ে চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনায় একাধিক জন জড়িত। এই অবস্থায় রবিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই নৃশংস ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য দেলীনা খোঙ্গদুপের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে।

সোমবার কলকাতায় এসে পৌঁছন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি দেলীনা খোঙ্গদুপ ও প্রবীণ সিং। তাঁরা লালবাজারে যান। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার সঙ্গে কথা বলেন। তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাঁরা আরজি করে যাবেন।

এদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদ্য প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা আরজি করের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। দিন কয়েক আগেই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে রেখা শর্মার। আরজি করের নৃশংস ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুতর বিষয়। আমি আশা করি, এরকম ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নামে অন্য দলের মহিলাদের উপর নিজের দলের গুণ্ডাদের ব্যবহার করেন মমতাজি। অনেক বছর ধরেই এটা চলছে।’

রেখা শর্মার এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন, তখন দেখেছি পক্ষপাতিত্বকে আপনি কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে নিয়ে কখনও পদক্ষেপ করেননি। সন্দেশখালির ষড়যন্ত্রে আপনারও ভূমিকা ছিল। বাংলার মানুষ এটা ভুলে যায়নি। আপনার সময়ে মণিপুরের ঘটনা ঘটেছিল। আপনি মণিপুরের মেয়েদের পাশে দাঁড়াননি। আপনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে বলবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + five =