‘ছাত্র সমাজের ব্যানারে’ শুরু হয়েছে এই অভিযান। কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে এগিয়ে চলে নবান্নের দিকে। আরও একটি দল ভাগ হয়ে এগিয়ে যায় নবান্নে। অপরদিকে, সাঁতরাগাছি থেকেও বিশাল মিছিল রওনা দিয়েছে নবান্নের উদ্দেশ্যে। তাঁদের একটাই দাবি ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। এ দিকে, প্রস্তুত পুলিশও। জলকামান-ব্যারিকেড নিয়ে তৈরি ছিল পুলিশ। এদিকে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানালেন, ‘আজ পুলিশ গুলি করুক। যা করুক বুক পেতে মেনে নেব। গুলি করলেও পিছু হটব না।’ আরও এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আজ কোনও বাধা মানব না। মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতেই হবে। কোনও কথা শুনব না।’
এই স্লোগানের মধ্যেই নজরে আসে কারও হাতে প্ল্যাকার্ড। লেখা ‘মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ’। কেউ আবার ব্যানারে লিখেছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। কারও হাতে জাতীয় পতাকা। সেই পতাকা নিয়েই এগিয়ে চলেছে সুবিশাল মিছিল। কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্রমেই তা এগিয়ে চলে নবান্নের দিকে।
এদিকে, সাঁতরাগাছির কাছে যেতেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের। দেখা যায়, একদিকে পুলিশ ব্যারিকেড রক্ষার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তারই মধ্যে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। ব্যারিকেড টলিয়ে দিতে দিতে আচমকা পুলিশের উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ব্যানার ছোড়া শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয়, একের পর এক গার্ডরেল কার্যত উপড়ে ফেলেন জনতা। জাতীয় পতাকা ওড়াতে শুরু করেন তাঁরা। অপরদিকে পুলিশও আন্দোলনকারীদের কার্যত বোঝাতে থাকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ায় পুলিশ। এ দিকে, গার্ডরেল ভেঙে ফেলতেই ময়দানে নামে পুলিশের র্যাফ। ছোড়া হয় জলকামান। আর পুলিশের বাহিনী এগিয়ে যেতেই পিছু হটতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তবে শুধু সাঁতরাগাছি নয়, হাওড়া ব্রিজের উপরে থাকা গার্ডরেলও সরিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
উল্লেখ্য, মূলত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ছাত্র সমাজের ব্যানারে শুরু হয়েছে নবান্ন অভিযান। এরপর কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। জাতীয় পতাকা হাতে মিছিলে আন্দোলনকারীরা। সাঁতরাগাছিতেও প্ল্যাকার্ড হাতে জমায়েত চলছে। কলকাতা থেকে হাওড়া, বেনজির চক্রব্যুহ তৈরি করেছে পুলিশ। তবে তা সব ভেঙে নবান্নমুখী হয়েছে আন্দোলনকারীরা।