সঞ্জয়ের বাইকের মালিকানা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাল কলকাতা পুলিশ

আরজি করের ট্রেইনি ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যেতেই সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এখন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বাইক আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে সেই বাইকও সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে যে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বাইক নথিভুক্ত রয়েছে কলকাতা পুলিস কমিশনারের নামে।

এবার এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কলকাতা পুলিশ স্পষ্ট জানায় যে, কলকাতা পুলিশের ব্যবহারের জন্য কেনা সমস্ত সরকারি গাড়ি প্রথমে সরকারিভাবে পুলিস কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত করা হয়। তারপর সেই গাড়ি বিভিন্ন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় ব্যবহারের জন্য। এখন ধৃত যেহেতু কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল, তাই তার ব্যবহার করা বাইকও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অযথা ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।

অভিযোগ, ঘটনার দিন ওই বাইকে চেপেই আরজি করে গিয়েছিল ধৃত সঞ্জয়। ধৃতের পাড়া প্রতিবেশীরা দাবি করেছে যে, অভিযুক্ত সঞ্জয় ওই ‘কেপি’ লেখা বাইক নিয়েই ঘুরে বেড়াত। এমনকি ঘটনার দিন রাতে এই বাইকে করেই এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জয় যায় যৌনপল্লিতে। সেখানে কথা কাটাকাটি হওয়ায় বেরিয়ে আসে। তারপর সেখান থেকে তারা বাইকে করেই চেতলার যৌনপল্লিতে যাবে বলেও ঠিক করে। এমনকি যাওয়ার পথে সঞ্জয় আরও এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি, ঘটনার দিন রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত সঞ্জয় বাইকে চেপে বেশ কয়েকবার আরজি কর চত্বরে যায় বলেও জানা গিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =