‘গ্রাউন্ড জিরো’ থেকে ঘুরে এসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রিপোর্ট তৈরি করে মুখ বন্ধ খামে তা পাঠিয়েও দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে যে সব অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে, তা সমাধান করার জন্য কমিশনকে সময় বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর এই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে যে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে কোচবিহার থেকে ক্যানিং ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন নিজে।
সেই ‘গ্রাউন্ড জিরো’য় গিয়ে যা দেখেছেন বা শুনেছেন, তার ভিত্তিতেই রাজভবনে ফিরে এসে রিপোর্ট তৈরি করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করতে কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলবও করেছিলেন রাজ্যপাল। ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেননি নির্বাচন কমিশনার। এরপর ফোনে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজীব সিনহা। তবে, স্পর্শকাতর বিষয় বলে ফোনে কথা বলতে চাননি রাজ্যপাল। এরপরই মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কমিশনে।
বিশেষ সূত্রে খবর, কী ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা উল্লেখ করে রাজ্যপাল বার্তা দিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা কী হওয়া উচিত। ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর একমাত্র কমিশনই যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে, সেটাও রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
ভোট ঘোষণার পর মনোনয়ন পর্ব থেকে অশান্তির অভিযোগ সামনে আসে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এহেন পরিস্থিতিতে কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পরে তিনি নিজে জেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
উত্তরবঙ্গ থেকে সফর শুরু করেন রাজ্যপাল। পরে ক্যানিং, বাসন্তীও পরিদর্শন করেন তিনি। এদিকে রাজভবনে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি পিস রুম খোলা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত যে সব অভিযোগ আসে, তা কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের এই তৎপরতা খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না শাসক দল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগও তোলা হয়েছে। কমিশনে চিঠি দিয়েছে শাসক দল।