নওশাদের বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হল নিউটাউন থানায়

আইএসএফ এমএলএ নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। অভিযোগ দায়েরও করা হয়েছে নিউটাউন থানায়। বুধবার দুপুরে নিউটাউন থানায় এসে বিমানবন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন আইএসএফ এমএলএ নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নওশাদ সিদ্দিকি তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে। সূত্রে খবর, এই নির্যাতিতা মহিলাকে নিউটাইন থানায় নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। নির্যাতিতা মহিলা এয়ারপোর্ট থানা অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও তিনি নিউটাউন থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেন।

এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্ত জানান নির্যাতিতা মহিলা প্রথমে তাঁর কাছে ঘটনাটি জানায়। এরপরই পুলিশে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে সব্যসাচী দত্ত এও জানান, নওশাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত এও জানান, ‘সংখ্যালঘু এই তরুণী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। শিক্ষিত পরিবারের সদস্য। তরুণীর বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরে নওশাদ তাঁর সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এমনকী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ওই তরুণী রক্ষণশীল পরিবারের সদস্য। সেই কারণে অভিযোগ জানতে সংকোচ বোধ করছিল। মানবিকতার খাতিরে পাশে ওঁর পাশে দাঁড়ানো হয়েছে।’

এরপর বুধবার দুপুরে নিজের ভাই  এবং তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে নিউটাউন থানায় যান ওই মহিলা। মহিলা তাঁর অভিযোগে জানান, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নওশাদ তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন।  একইসঙ্গে নওশাদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন তিনি। তবে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় কবে, কীভাবে ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। বরং অভিযোগকারীর দাবি, আপনাদের যা জানার নওশাদকে জিজ্ঞেস করুন।

এই প্রসঙ্গে নওশাদ জানান, ‘কী অভিযোগ হয়েছে আমি জানি না। কে অভিযোগ করেছেন জানা নেই। অভিযোগের কপি হাতে না পাওয়া অবধি কোনও মন্তব্য করব না।’ এদিকে এই ঘটনায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের নেতাদের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। তথ্যপ্রমাণ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যদিকে বামেদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নওশাদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় নিউটাউন পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,  পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন  থানার আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + fourteen =