কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে আর বাধ্যতামূলক নয় পিএইচডি, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানানো হল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফ থেকে। তবে নিয়োগের ন্যূনতম মাপকাঠি নেট অথবা সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০১৮ সালের আগে নেট অথবা সেট উত্তীর্ণরা যেভাবে নিয়োগ পেতেন সেভাবেই এখন থেকে নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনা করার জন্য ২০১৮ সালে পিএইচডি বাধ্যতামূলক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তার পেছনে ইউজিসির যুক্তি ছিল পিএইচডি উত্তীর্ণ একজন প্রার্থীর যোগ্যতা মান অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবে এই জেরে দেখা যায়, যে পরিমাণ অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন তার তুলনায় অনেক কমই সুযোগ পাচ্ছেন। অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার সংখ্যা কমতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে ইউজিসির আধিকারিকদের কপালে। অবশেষে দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৮-র পুরনো নিয়মে ফিরল ইউজিসি। নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে সরকারি অধ্যাপক নিয়োগে আর বাধ্যতামূলক নয় পিএইচডি। তার বদলে ন্যূনতম যোগ্যতা মান হবে সর্বভারতীয় নেট অথবা রাজ্যভিত্তিক সেট উত্তীর্ণ হলেই যথেষ্ট। ইউজিসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা ক্রমশ অপ্রতুল হওয়ার কারণেই সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে পিএইচডি আর বাধ্যতামূলক রাখেনি ইউজিসি। নয়া এই সিদ্ধান্তে এবার নিয়োগে আশার আলো দেখছেন নেট ও সেট উত্তীর্ণ অসংখ্য চাকরি প্রার্থীরা।